‘স্বল্প সংখ্যক’ যাত্রী নিয়ে ৩১ মে থেকে চলবে বাস-ট্রেন-লঞ্চ

আগামী ৩১ মে অফিস খোলার পাশাপাশি সীমিত আকারে ‘স্বল্প সংখ্যক’ যাত্রী নিয়ে সব ধরনের গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ বুধবার রাতে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ৩১ মে অফিস চালুর দিন থেকে সীমিত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌপরিবহন, ট্রেনও চলবে।এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

করোনাভাইরাস সংকটে চলমান সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে এর আগে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ছুটি বাড়বে না। ছুটি সীমিত হচ্ছে। আমরা প্রজ্ঞাপনটি কিছুক্ষণ আগে পেলাম। তাতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে চালু রাখা, পাশাপাশি নাগরিক জীবনের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

আগামী ৩১ থেকে অফিস চালু হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। আজ বিকেলে তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন, যাত্রীবাহী রেল ও নৌযান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য যানবাহন ও ব্যক্তিগত হালকা যানবাহন চালু থাকবে।’

৩১ মে থেকে অফিস চালুর ঘোষনা দেওয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইন এবং ডিসটেন্স লার্নিং কোর্স চালু থাকবে। আর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবে। সেক্ষেত্রে বয়স্ক ও অসুস্থ লোকজন অফিসে যাবে না, সন্তান সম্ভবা নারী অফিসে যাবে না।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।

২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।

সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ মে থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, এখনো তা চলছে। সেই ছুটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ মে।

করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।